গত বুধবার কুড়িগ্রামের চর ভগবতিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা ও হাইজিন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা মুসলিম এইড-ইউকে বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস এর সহায়তায় এবং জাতীয় উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও এর বাস্তবায়নে ÒCBM-IV Project)” প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুড়িগ্রাম সদর সাঈদা পারভীন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আপনার সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাবেন। তাদের সাফল্য নির্ভর করে আপনার ইচ্ছাশক্তির ওপর। আপনার সন্তানেরা একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে, যদি তাদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তি থাকে। অর্থের অভাব কখনই তাদের অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন নয়, তাদের মনোবল ও শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যও সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ কুড়িগ্রাম জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাতা ও হাইজিন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মিজানুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার, এন. এম. শরিফুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ইসমত আরা, মোছাঃ নাহিদা আফরিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা, ড. মো. কামরুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা, মোছাঃ খাদিজা খাতুন, উপজেলা প্রকৌশলী, নিতিশ কুমার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, খন্দকার ফিজানুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. শাহিন মিয়া, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, আবুল বশার মো. ওবায়দুল্লাহ, শাহ ওয়ালী উল্লাহ, মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ কন্ট্রি অফিসের এডুকেশন কো-অর্ডিনেটর, আবু জাফর নূর মো. , ইএসডিওর এপিসি, এবং মঈন উদ্দিন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, উপস্থিত ছিলেন। “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কুড়িগ্রাম জেলার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।”
সিবিএম-৪ প্রকল্পটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৩টি মাধ্যমিক এবং ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ এবং সমতাভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।