২৬ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র প্রায় বিশ ঘন্টা তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় অঞ্চল। রেমালের তান্ডবের ক্ষত না শুকাতেই কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ নিয়ে হাজির হলেন প্রধান মন্ত্রী নিজেই। বৃহস্পতিবার এগারো টা ৩৭ মিনিটের সময় সভা স্থলে আসেন প্রধান মন্ত্রী এসময় স্লোগান দিতে থাকলে তিনি বলেন স্লোগান বন্ধ করো গরমে আর কষ্ট দিওনা মানুষকে। নিজ হাতে ত্রান সমগ্রী তুলিদিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস ও দিয়েছেন। এসময় তিনি বলেন ধারাবাহিকভাবে গনতন্ত্র আছে বলেই দূর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের পাশে দ্বাড়াতে পারে।
জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। জাতীর পিতা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছেন। মানুষের কল্যানেই তিনি জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। সারাটা জীবন জেল জুলুম আর অত্যাচার সহ্য করেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে নির্মম গণহত্যা শিকার হন আমার মা বাবা ভাইবোনসহ আরো অনেকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, এই দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত ছিল, আওয়ামী লীগ সরকার কলাপাড়ায় শেখ কামাল,শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতু করে দিয়েছি। পায়রা বন্দর করেছি, পায়রা শান্তির প্রতিক তাই এই বন্দরের নাম আমি পায়রা বন্দর করেছি। পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছি। পটুয়াখালীতে সেনানিবাস সহ কুয়াকাটায় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিংস্টেশন করেছি এবং যাদের থাকার আশ্রায়স্থল ছিলনা তাদেরকে জমি সহ ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান মন্ত্রীর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান ১১৪, পটুয়াখালী -৪ তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য তাকে ২১বার হত্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবুও তিনি দমে যাননি।ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র কারনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। টেকসই সাইক্লোন সেল্টার হওয়ার কারনে মানুষের প্রানহানি না হলেও গবাদিপশু সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রান হানি সহ ঘর-বাড়ীর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই ক্ষতির পরিমান যাতে আরো কমিয়ে আনা যায় তার জন্য বেড়িবাঁধের কাজ বর্ষার আগেই শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। জলোচ্ছ্বাসের কারনে ঘের তলিয়ে গেছে যারফলে পানি লবনাক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করছি। বীজ,সার,ঔষধ যা যা লাগবে সব দিব তবুও ১ইঞ্চি পরিমাণ যায়গা অনাবাদি রাখা যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজ পায়রা পোর্ট, পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প ও নৌ ঘাটি বাস্তবে রুপ পায়।
এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরসহ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করছেন। প্রধান মন্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠ। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন যায়গা থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়া শুরু করে আওয়ামী নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগন। সকাল ১০ টার মধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে সমাবেশ স্থলটি।
তবে ফেরার পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শেখ কামাল সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় ঘন্টাব্যাপি যানজট দেখা দিলেও দেখা মেলেনি যানজট নিরসনের জন্য কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর।
পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের মাঝে ত্রান সামগ্রী তুলে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
বশির উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার
01718 260171