শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
স্বেচ্ছাসেবী এইচ.এম শাহিন আলম এর ১৫ তম রক্তদান করেছেন ১৪ বার হোল্ড ব্লাড প্লাজমা ১বার। আজ ২১.০৪.২৫ইং রক্তস্বল্পতা একজন মুমূর্ষু রোগীকে নোয়াপাড়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হসপিটালে রক্তদান সম্পূর্ণ করেছেন।
সেচ্ছাসেবী শাহিন আলম রক্তদানের কারণ জানান,
দেশে প্রতিদিন শত শত ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হয়। স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সব রোগীদের রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়না, হসপিটাল গুলোতে প্রচুর রক্ত প্রয়োজন হয় প্রতিদিন, যদি দেশের ছাত্র শ্রমজীবী কৃষক সাধারণ জনগন সহ সব পেশার মানুষ যদি এগিয়ে আসে মুমূর্ষু রোগীদের পাশে রক্তের অতিরিক্ত প্রভাব টা কমে যাবে।
রক্তের অভাবে কেউ আর মৃত্যু বরণ করবেনা , রক্তদান করা স্বেচ্ছাসেবীদের পেশা নয় বরং নেশা যেই নেশায় হাজারো অসহায় মানুষের জীবন বাঁচে,সকলকে আহবান করেছেন রক্তদানের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী শাহিন আলম।
কারণ দেশে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত লাগে। এর কেবল ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে। বাকি ৭০ শতাংশ আসে রক্তগ্রহীতার স্বজন ও অপরিচিতদের কাছ থেকে। দেশে নারীদের মধ্যে রক্ত দেওয়ার সুযোগ ও প্রবণতা কম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, রক্তদাতাদের মধ্যে কেবল ৬ শতাংশ হচ্ছেন নারী।
সরকারের নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচির হিসাবে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭২ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে গ্রহীতাদের দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তা কমে আসে ২০২০ সালে। গত বছর সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৭ ব্যাগে। এই রক্তদাতাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই পুরুষ।
সকল স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে উন্নয়ন সমাজসেবা পরিষদ সংগঠনের সেচ্চসেবকরা সব সময় অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন।