তাঁর স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। অথচ দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের বিশেষ অনুদানপ্রাপ্ত (ব্যক্তি পর্যায়ে) ব্যক্তিদের তালিকায় নূরন নাহারের নাম আছে। শুধু নূরন নাহার নয়, তাঁর মেয়ে জামাতা মোহাম্মদ জাভেদ চৌধুরীরও নাম আছে তালিকায়। যদিও জাভেদ একটি মুঠোফোন কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা উভয়ই কানাডায় আছেন। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের তথ্য বলছে, এই দুজনের নামেই ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ। এই প্রতিষ্ঠান দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের চিকিৎসা, সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও গৃহ মেরামত বাবদ সহায়তা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লালমনিরহাট জেলার ১ হাজার ৬৩১ জন ব্যক্তিকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার টাকা বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়েছে। নুরুজ্জামান আহমেদ ২০১৬ সালে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি বাদ পড়েন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।