ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের ভূল্লী থানার পার্শ্ববর্তী বাসা আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তৎকালীন বিডিআর সদস্য মোতাহার হোসেন বিয়ের চৌদ্দ দিনের মাথায় আটকা পড়েন পিলখানা ট্রাজেডি মামলায়। তারপর একে একে কেটে যায় ষোলটি বছর। তবে জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জেল থেকে মুক্তি পান মোতাহার।
১৬ বছরের পর বছর ধরে হাজত বাস করে পরিবারের মাঝে ফিরে আসায় এলাকার মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। পাশপাশি তাদের ফিরে পাওয়ায় স্বজনদের অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
স্বজনরা জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের জীবন থেকে ষোলটি বছর কেড়ে নেয়ায় নিদারুণ কষ্টের কথা তুলে আবারও কর্মজীবনে ফেরানোর দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর।
সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীদের প্রতি।
সদর উপজেলা আউলিয়াপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের সদ্য মুক্তি পাওয়ায় মো. মোতাহার হোসেন জানান, বিনা দোষে দোষী সাবস্ত করা হয় আমাদের। এত বছর কেড়ে নিয়েছে আমাদের জীবন থেকে তৎকালীন সরকার। যারা প্রকৃত দোষী তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনুক এটা আমরাও চাই । তবে বিনা দোষে যারা জেলা খেটেছে এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে। তাই যারা অন্যায়ভাবে সৈনিকদের কারাভোগ করিয়েছে তাদের বিচারের দাবি করেন বর্তমান সরকারের কাছে। একই সঙ্গে চাকরি ফেরতসহ ক্ষতিপূরণ দাবিও করেন তারা।
মুক্তি পাওয়া সাবেক সৈনিকদের মধ্যে মোহাতার হোসেন পিলখানায় মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ও হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মোতাহার চাকরি করেন এরপর তাদের জেলখানায় পাঠায় আ.লীগ সরকার।