হরিরামপুরের আন্ধারমানিক এলাকার নদী পাড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। স্থায়ী রেস্তরাঁর পাশাপাশি অস্থায়ী দোকানের ছড়াছড়ি। স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন মিনি কক্সবাজার। এখানে ঢুকতেই চোখে পড়ে ব্যানারে রাসেলস ভাইপার নিয়ে সচেতনতামূলক নানা কথা লেখা। এই ব্যানার এলাকার অনেক স্থানেই দেখা মেলে। বিস্তৃত চর। চারিদিকে শুধু ফসলি জমি। মূল ভূখণ্ড থেকে নদীপথে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় নিয়ে যেতে হয় পদ্মার চরে। কৃষকদের ব্যস্ততা ফসল তোলাতে। মাঠে বর্গা চাষ করেন অধিকাংশই। চরজুড়ে দেখা মেলে ভুট্টা, বাদাম, তিলসহ ধানের চাষ। সাধারণ সময়েই কৃষি শ্রমিক মেলা দায়। তার ওপর হানা দিয়েছে সাপ আতঙ্ক। ফসল তুলতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদের। এলাকায় নীরবে আতঙ্ক তৈরি করেছে সাপ। এই চরের অন্তত ছয়জন সাপের দংশনে মৃত্যুবরণ করেছেন। যেকোনো সাপ দেখলেই রাসেলস ভাইপার ভেবে মারছে মানুষ।