নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কমিশনের ভিত্তিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই কারসাজি করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ বোরো মৌসুমে ৩ হাজার ৯৪০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে খাদ্য বিভাগ। ৪৫ টাকা কেজি দরে ৭ মে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। সংগ্রহ অভিযান চলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এসব চাল সংগ্রহের বিপরীতে সদর উপজেলায় ৪৫টি হাসকিং মিল ও তিনটি অটোমিলের সাথে চুক্তি করে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর। শর্ত পূরণে অটোমিলগুলো চুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হলেও শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ও বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে বছরের পর বছর বন্ধ এসব মিল থেকে সরকারের খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করে আসছেন মিলারেরা। অথচ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত চাল সংগ্রহের চুক্তির মডেল অনুসরণ করে চাল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সম্পূর্ণ উৎপাদনে নিয়োজিত (সচল) বৈধ চালকল লাইসেন্সধারী মিলারদের নিকট থেকে চুক্তি সম্পাদন করে চাল ক্রয় করতে হবে।