দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার দাবিত সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে জামায়াতে ইসলামের উদ্যোগে দুর্গাপুর পৌর সদরের একটি ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী নুরুজ্জামান লিটন।
তিনি শুরুতেই দেশে চলমান অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করে বলেন, সবাই জানেন দেশে যখনই যে শাসক গোষ্ঠী এসেছে, তারা গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরশাসন প্রতিষ্টা করেছে। আমরা গত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি নি। এতে দেশের আপমোর জনতা ও ছাত্র সমাজ সংক্ষুদ্ধ ছিল। ফলে এটার চুড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে। জণগনের বিজয় হয়েছে।
লিটিন বলেন, শুরু থেকেই শাসক গোষ্ঠী ছাত্রদের দাবিগুলো খাটো করে দেখেছে শাসক গোষ্ঠী সরকার পক্ষ। ছাত্রদের দাবি গুলো নিয়ে তারা কটুক্তি করেছে। এতে ছাত্রদের সঙ্গে দেশের আপমোর জনতা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এতে একটি স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সব সময় গণতান্ত্রের পক্ষে ছিল এখনও আছে। গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারা বরণ করতে হয়েছে। অনেকেই শাহাদত বরণ করেছেন। নেতাকর্মী বিরুদ্ধে অংসখ্য নাশকতা গায়েবী মামলা হয়েছে।
লিটন বলেন, আমাদের ওপর যারা অত্যাচার নিপীড়ন করেছেন। তাদের আমরা ক্ষমা করে দিতে চাই। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ক্ষমা পছন্দ করেন। তাই আমরা কোন প্রতিশোধ নিব না। বরং সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, আমরা জামায়াত ইসলাম হিংসা বিদ্বেষ চাই না। সরকার পতনের পর যারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছেন, তারা অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
লিটন বলেন, আমরা জামায়াত ইসলাম সংখ্যালঘু দের পাশে আছি। ইতিমধ্যে পৌর শহরের সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের নিয়ে বৈঠক করেছে জামায়াত ইসলাম। আমরা মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জাসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের উপসনালয়গুলোর সুরক্ষা চাই। ইতিমধ্যে আমাদের উপজেলার আড়ইল গ্রামে একটি মন্দির জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তায় পাহারা দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী শিক্ষক শামীম উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওনা রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী শাহিনুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতে সাবেক আমীর ফজলুল বারী সোহরাফ, জামায়াত নেতা ও কাঁঠাল বাড়ীয়া স্কুল ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হাজী আমজাদ আলী, জামায়াত নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইসাহাক আলী, সেক্রেটারী মহিউদ্দিন প্রমুখ।