রাজশাহীর তানোর উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে ১৯৮৮ থেকে ২০০০ ইং সালে স্থাপিত গভীর নলকূপগুলোর বোরিং প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। উঁচু বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানিরস্তর কমে যাওয়ার কারণে, চলতি আলু চাষ মৌসুমে শেচ ব্যাহত হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, ১নং কলমা ইউনিয়নের, নটিপাড়া মৌজার জেএল নং- ২২ দাগ নং- ১৬ তে স্থাপিত গভীর নলকূপের অপারেটর; মোঃ মহসিন আলী জানান, এই গভীর নলকূপ এলাকায় আলু চাষের জমির পরিমান, প্রায় ১শত, ৪০ বিঘা। প্রতি বিঘায়, শেচ খরচ প্রায় তিন হাজার টাকা হচ্ছর।
এছাড়াও গভীর নলকূপগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না দেওয়ার কারণে পারিবারিক ভাবে স্থাপিত সাবমারসেবল পাম্পে শেচ দিয়ে আলু চাষ করতে হচ্ছে, পাম্পেও বিঘা প্রতি প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ১৩- ফেব্রুয়ারী, কলমা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সের আশপাশের মাঠে জমি বরাদ্দ নেওয়া বাবদ বিঘা প্রতি ১৬ হাজার টাকা ও পশ্চিম মাঠে ১৪ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছ।

১৯৮৮ ইং সালে দরগা ডাঙ্গা বাজার এর পশ্চিমে ও কলমা বাজার এর দক্ষিণে স্থাপিত গভীর নলকূপগুলোর বোরিং প্রায় অকেজো হয়ে পড়াছে। এছাড়াও ভূগর্ভের পানিরস্তর কমে যাওয়ার কারণে, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ দিতে পারছেন না, বলে অপারেটর, মোঃ মহসিন আলী জানান।

তিনি তানোর উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করে, রাজশাহী বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের ডাইরেক্টর, জনাব আসাদুজ্জামান এর নিকট তানোর উপজেলায় বোরিং অকেজো গভীর নলকূপগুলো প্রতিস্থাপনের আবেদন করেছেন।

তানোর উপজেলা বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের এর প্রকৌশলী জামিলুর রহমান বলেন: তানোর উপজেলা স্থাপিত গভীর নলকূপগুলোর মধ্যে যেসব গভীর নলকূপের বোরিং অকেজো হয়ে গেছে সই সব গভীর নলকূপগুলো প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে বরিং অকেজো সবগুলো গভীর নলকূপ পুনরায় বোরিং করা হবে।।