তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) লসিরামপুর মাঠে ইউপি ভুমি কর্মকর্তার যোগসাজেশে ধনাবাড়ি- দেয়ালকুড়ি নামক প্রায় ১ (এক) একর আয়তনের একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার প্রশাসনিক কোনো অনুমতি ছাড়াই নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও পুকুর ভরাট করতে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জেনেও পুকুর পাড়ের কয়েকটি তাজা গাছ কাটা হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, কৃষি জমিতে একবার পুকুর খনন আবার সেই পুকুর ভরাট করা রীতিমতো মাটির গুণগত মান ধংশ করা ও ভূমি সংস্কার আইন বহির্ভূত। স্থানীয় সুশীল সমাজের সচেতন ব্যক্তিগণ পুকুর ভরাট বন্ধের পাশাপাশি, ভূমিদস্যুর শাস্তির দাবি জানান।
জানা গেছে, নীতিমালা অনুযায়ী জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো পুরাতন পুকুর খনন করতে চাইলে তা যথাযথ নিয়ম মেনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে তারপর অনুমোদন নিতে হয়।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, খাল ও লেক ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনেও (২০১০ সালে সংশোধিত) যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাবলু নামে এক ব্যক্তি নিজেকে পুকুর মালিক দাবি করে বলেন, এটা পুকুর নয় এই জমির শ্রেণী কৃষি। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছিল, এখন সেটা ভরাট করা হচ্ছে, তাই এখানে প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, ইউপি ভুমি কর্মকর্তা তহসিলদার বিষয়টি জানেন।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) তানোর উপজেলা শাখার সভাপতি মফিজ উদ্দিন বলেন, মুক্ত জলাশয় উদ্ধার করা না গেলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটবে। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য সব জেনে বুঝেও তারা এমন কাজ করেছে, তাই পুকুরের এসব মাটি দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) তানভির বলেন, তিনি কিছুই জানেন না এবিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হবে। তিনি বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।