‘ গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অংশ নেওয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পায় ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে। এ দলগুলোর নেতৃত্বে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দলের দলছুট বেশ কিছু নেতা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই নেতারা এখন বেকায়দায় পড়েছেন। তাদের বেশির ভাগই বর্তমানে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে অপরিচিত কয়েকটি রাজনৈতিক দল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব দলকে নিবন্ধনও দেওয়া হয়েছিল। ‘কিংস পার্টি’ বা হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ওঠা এসব রাজনৈতিক দলগুলো আসলে ‘পুতুল দল’ হিসেবে কাজ করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপিকে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। এই দলগুলো এমন এক সময়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানায়, যখন দেশের অন্যতম বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া নতুন এই দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিলেও জয় তো দূরের কথা, বেশির ভাগ প্রার্থীই জামানত পর্যন্ত হারিয়েছেন। আলোচিত-সমালোচিত কয়েকটি কিংস পার্টির নেতা এবং তাদের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, প্রলোভন ও চাপে পড়ে আওয়ামী লীগের সাজানো নির্বাচনে অংশ নিয়ে এখন তারা মহা বিপাকে আছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে পাত্তাই পায়নি তৃণমূল বিএনপি। ২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হলেও দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর দলটির প্রথম কাউন্সিলে যোগ দেন বিএনপির দলছুট দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। দলটির প্রতীক সোনালী আঁশ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩৩টি আসনে প্রার্থী দেয় তারা। তবে কোনো আসনেই এই দলের কোনো প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি।