গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রতারণা মামলায় ৩জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার মুনশুরপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. জামান মিয়া তার ভোগদখলীয় জমি বিক্রির জন্য মুনশুরপুর গ্রামের মৃত মো. সাদির মিয়ার কন্যা রহিমা বেগমকে প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবিত জমিটি রহিমা বেগমের পৈত্রিক বসত ভিটা হওয়ার কারণে ক্রয় করিতে রাজী হন। উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে মুনসুরপুর মৌজাস্থিত আর এস ৩১৩ নং দাগের চৌহর্দী উল্লেখ পূর্বক ১.৭৫ শতাংশ জমির মূল্য ৯,৪০,০০০/- (নয় লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করিয়া গত ১১/৮/২০১৮ইং তারিখে কালীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে মুনসুরপুর গ্রামের মৃত অছুমদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিমকে সনাক্তকারী স্বাক্ষী দেখাইয়া দখল না থাকা সত্তে¡ও ৩৩৭ দাগে কোরআনী হেবা দলিল নং ৫২৬০ রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন। ঐদিন মামলার সকল আসামী তাদের নিজ দখলীয় আর এস ৩১৩নং দাগের ভোগ দখল বাদীনি রহিমা বেগমকে বুঝিয়ে দেন। পরবর্তীতে রহিমা বেগম দখলীয় বুঝিয়া পাইয়া সম্পত্তিতে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ আরম্ভ করিয়া ছাদ ঢালাই দেওয়ার পর আসামী মো. জামান মিয়া ও তার মেয়ে ঝুমা আক্তার অন্যান্য লোকজন সহ কাজে বাধা প্রদান করেন। তাতে সন্দেহ হলে রহিমা বেগম দলিলের বিস্তারিত পড়িয়া দেখেন মো. জামান মিয়া ৩১৩ নং দাগে জমি দেওয়ার কথা বলে ৩৩৭ নং দাগের জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দিয়াছে যা দাতা মো. জামান মিয়ার দখলকৃত জমি নয়। পরে গত ২৫/২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৪টার দিকে রহিমা বেগম কয়েকজন স্বাক্ষী নিয়ে জমির দাতা মো. জামান মিয়া ও তার মেয়ে ঝুমা আক্তারের বাড়ীতে যাইয়া কোরআনী হেবানামা দলিল নং ৫২৬০ মোতাবেক তাহার সম্পত্তি বুঝাইয়া দেওয়া অথবা তাহার প্রদেয় টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে জামান ক্ষীপ্ত হয়ে রহিমা বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে সম্পত্তি ও টাকা ফেরত দিবে না বলে জানান। এ ঘটনায় রহিমা বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২, গাজীপুরে সি আর মামলা নং ১০৫ দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) নির্দেশ প্রদান করেন। ডিবির তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত মো. জামান মিয়া, ঝুমা আক্তার ও আব্দুর রহিম এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জামিনের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২, গাজীপুরের বিচারক এখলাস উদ্দিন তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।