মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রæয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মাঝে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মি, উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর-ই-জান্নাত, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূইয়া, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারী মো. তাইজুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইশরাত জাহান, বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সদস্য শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সভায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর ১৭ ফেব্রæয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রæয়ারীর মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, ছড়া পাঠ ও কবিতা আবৃত্তি, ২০ ফেব্রæয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী এবং সন্ধ্যায় ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের উপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন। ২১ ফেব্রæয়ারী প্রথম প্রহর ১২.০১ মিনিটে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, সকাল সাড়ে ১০ টায় শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাদ জোহর সকল মসজিদে শহিদদের রুহের মাগফেরাত সহ দেশ ও জাতির উন্নতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকল মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা সহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।