1. news@bijoytv24.news : বিজয় বাংলা টিভি : বিজয় বাংলা টিভি
  2. info@www.bijoytv24.news : বিজয় টিভি ২৪ :
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

আশুলিয়া থানা বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিনিধি।
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশুলিয়া থানা বিএনপির উদ্যোগে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করার লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে আশুলিয়া থানা বিএনপি কর্তৃক এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে সাভার উপজেলায় আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা জেলা ও সাভার-আশুলিয়ার নেত্রবৃন্দরা নানা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনা সংবিধানের উপর যে আঘাত এনেছেন সেই সংবিধানকে সঠিকভাবে প্রণীত করতে হবে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সঠিক পথে আনতে হবে। আর এক্ষেত্রে বিএনপির ৩১ দফা দাবির মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রকে পুননির্মাণ করা সম্ভব।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীদের এখন একটাই কাজ এই ৩১ দফার বিষয়বস্তু সারা বাংলাদেশের প্রতিটা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে ।দেশের মানুষকে বোঝাতে হবে গত ১৩ ই জুলাই ২০২৩ তারিখে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক যে ৩১ দফা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন সেটিই আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক সামসুল ইসলাম, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফ উদ্দিন সাইফুল প্রমুখ। এ সময় সাভার ও আশুলিয়া থানা বিএনপি ও তার অংগসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কর্মশালা থেকে ৩১ দফা তুলে ধরা হয়,

১.জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।২.সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা (Rainbow Nation) ও ‘জাতীয় সমন্বয় কমিশন (‘National Reconciliation commission’) গঠন । ৩.অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন। ৪.আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা। ৫.প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারন। ৬.বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন। ৭.সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন। ৮.নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন। ৯.স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করন। ১০.বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন । ১১.গণমূখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন। ১২.মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩. দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ। ১৪.সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। ১৫.আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন। ১৬.ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান । ১৭.মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা। ১৮.প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন। ১৯.জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন । ২০.প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের উর্ধ্বে রাখা। ২১.প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা। ২২.শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান । ২৩.কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন । ২৪.নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ। ২৫.চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা । ২৬.“সবার জন্য স্বাস্থ্য” এবং “সার্বজনীন চিকিৎসা”ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা। ২৭.কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। ২৮.সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। ২৯.জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা । ৩০.তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। ৩১.যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত