আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ৪৩তম বিসিএস নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করার দাবি জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে ঢালাও নিয়োগের মাধ্যমে নিষিদ্ধের দাবি ওঠা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৪৩ তম বিসিএসে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে এদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।’ এ ছাড়াও ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের যে কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো স্থগিত করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দুই মাস না যেতেই কোনো রকম যাচাইবাছাই ছাড়া আওয়ামী লীগের অনুগত ও ছাত্রলীগের ক্যাডারদের পুনবার্সন করার জন্য ৪৩ তম বিসিএসের ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।’ সালাহউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ৩ হাজার মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়ন শেষ পর্যায়ে। আর ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমরা চাই ছাত্রলীগের ক্যাডারদের নিবৃত্ত করতে এই তিনটি নিয়োগ পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে হবে।’ পুলিশের নিয়োগ নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে ৮০৩ জনকে নিয়োগ করে। আমরা জানতে পেরেছি এরমধ্যে ২০০ জনের বাড়ি গোপালগঞ্জে এবং ৪০৩ জন ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকারী সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য। সেই সঙ্গে আ. লীগ সরকার সর্বশেষ ৬৭ জন এএসপিকে নিয়োগ প্রদান করে, যারা সবাই ছাত্রলীগের নেতা। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হবে না।’